Hate Speech Bill

ঘৃণাভাষণের সাজা ১০ বছরের জেল, সঙ্গে জরিমানাও! বিজেপি বিরোধিতা করলেও কর্নাটক আইনসভায় দু’কক্ষে পাশ বিল

ঘৃণাভাষণ প্রতিরোধ বিল পাশ হতেই কন্নড় রাজনীতিতে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের সহযোগী জেডিএস এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করতে চাইছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:০০
Share:

সিদ্দারামাইয়া। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিরোধী বিজেপি এবং জেডিএস বিধায়কদের তুমুল প্রতিবাদ উপেক্ষা করে শুক্রবার কর্নাটক বিধান পরিষদে পাশ হল ঘৃণাভাষণ ও ঘৃণাপরাধ (প্রতিরোধ) বিল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা’ বলে চিহ্নিত করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এনডিএ।

Advertisement

গত ৪ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের উপস্থিতিতে কর্নাটক মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল বিলটি। ১০ ডিসেম্বর সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বিলটি বিধানসভায় পেশ করেছিলেন। এর পরে বৃহস্পতিবার সেটি বিধানসভায় পাশ হয়। শুক্রবার পাশ হল রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদে। এই বিলে ঘৃণাভাষণের অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব রয়েছে। রাজ্যপালের অনুমোদন মিললে বিলটি আইনে পরিণত হবে।

ঘৃণাভাষণ প্রতিরোধ বিল পাশ হতেই কন্নড় রাজনীতিতে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের সহযোগী জেডিএস এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার এই আইন ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কর্নাটকের ধারওয়াড়ের সাংসদ প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘এই বিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে। তাঁর দাবি, সরকার সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে এই ধরনের আইন আনছে।’’ সাম্প্রতিক অতীতে নলীন কাতিল, অনন্তকুমার হেগড়ে-সহ কর্নাটক বিজেপির কয়েক জন প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক মন্তব্যের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালতও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement