Bangladesh Navy

‘ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকায় ধাক্কা মারেনি আমাদের জাহাজ’, অভিযোগ অস্বীকার করল বাংলাদেশ নৌসেনা

বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর দাবি, নামখানার ট্রলার পারমিতা-১০ ভারতীয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার সময় বাংলাদেশ নৌসেনার টহলদার জলযান ছিল ১২ মাইলেরও বেশি দূরে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৩
Share:

বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। —ফাইল চিত্র।

বঙ্গোপসাগরের টহলদার জাহাজ দিয়ে ধাক্কা মেরে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করল বাংলাদেশ নৌসেনা। সে দেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউদদৌলা চৌধুরী এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ‘‘সম্প্রতি কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য প্রচার করছে।’’

Advertisement

বাংলাদেশে ফৌজের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার ট্রলার পারমিতা-১০ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার সময় তাদের নৌসেনার টহলদার জলযান ছিল ১২ মাইলেরও বেশি দূরে ছিল। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সোমবার (১৫-১২-২০২৫) বাংলাদেশ সময় ১৫১৫ ঘটিকায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) থেকে মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, ঢাকাকে ই-মেল এর মাধ্যমে জানানো হয় যে, পারমিতা-১০ নামে একটি ভারতীয় মাছধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় জলসীমায় ১৬ জন জেলে-সহ ডুবে গিয়েছে। ভারতীয় অপর একটি মাছধরার ট্রলার আইএফবি রঘুপতি কর্তৃক এ পর্যন্ত পারমিতা-১০ এর ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।’’

ভারতীয় উপকূলরক্ষীদের তরফেই ডুবে যাওয়া ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে বাংলাদেশি নৌসেনার সহায়তা চাওয়া হয়েছিল জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় এমআরসিসি থেকে ই-মেল পাওয়ার পরেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজকে দ্রুততার সাথে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ ভারতীয় কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশের স্থানীয় জেলেদের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ধরনের উদ্যোগ কেবল মানবিক দায়িত্ব পূরণই করে না, বরং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।’’

Advertisement

যদিও সুন্দরবন জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নৌসেনার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ায় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী তাদের তাড়া করেছিল। বাংলাদেশের জাহাজটি তখন ভারতীয় জলসীমা ছেড়ে চলে যায়। এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও শুক্রবার বলেন, ‘‘সেই অর্থে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। কয়েক জনকে উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় নিয়ে আসা হয়। আমরা গোটাটাই তদন্ত করে দেখছি।’’ রাতের অন্ধকারে আলো নিবিয়ে বাংলাদেশের নৌসেনার জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকেছিল বলে উদ্ধার পাওয়া মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের ধাক্কাতেই ডুবেছে পারমিতা-১০।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement