হলিউড আর সুপারহিরো— ১৯২০ সালের নির্বাক ছবি ‘দ্য মার্ক অফ জোরো’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এই সম্পর্ক। তার পর সাদা-কালো, রঙিন, অ্যানিমেশন, সবাক— রিল জগতের প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এই হিরোদের অবাধ গতিবিধি দেখে আসছে ফ্যান্টাসি-প্রেমী দর্শক। ধীরে ধীরে সাগর পেরিয়ে এক সময় তাদের ‘নজর’ পা রাখে ভারতের মাটিতে। টেলিভিশন জগতের ‘পিতামহ’ হয়ে ওঠার আগেই ‘শক্তিমান’ মুকেশ খন্না পরিচিত হন প্রথম ভারতীয় সুপারহিরো হিসেবে। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫-এর মার্চ পর্যন্ত ছিল তাঁর একাধিপত্য। ২০০৬-এ হৃতিক রোশনের ‘ক্রিশ’ ও ২০১১তে শাহরুখ খানের ‘রা ওয়ান’ এসে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় সেই সুপারহিরোর ‘ক্যারিশমা’।
এ বার পালা রণবীর কপূরের। বলিউড ও কপূর পরিবার যেন একে অপরের পরিপূরক। সেই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের এই তরুণ অভিনেতাকে এ বার দেখা যাবে ‘সুপারহিরো’ রূপে। ‘সাওয়ারিয়া’র প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া সদ্যযুবা, বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে ঘরছাড়া ‘সিড’ থেকে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মূকবধির ‘বরফি’ হয়ে খুব সহজেই সকল দর্শকের মন জয় করে নেন ঋষি-নিতু কপূরের ছেলে।
অয়ন মুখোপাধ্যায় নামটাও বেশ পরিচিত। ‘ওয়েক আপ সিড’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হেয় দিওয়ানি’র মতো দু’টি হিট ছবির পরিচালক এই তরুণ। তাঁর আরও এক পরিচয়, তিনি বিখ্যাত প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়ের নাতি ও দেব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে। সম্পর্কে তিনি রানি মুখোপাধ্যায়ের ভাইও বটে।
একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, অয়ন-রণবীর একেবারে হিট জুটি। তার সঙ্গে যদি যোগ হয় এ প্রজন্মের বলিউড হার্টথ্রব আলিয়া ভট্ট— ব্যাপারটা কেমন হবে! ভাবা-জানা-বোঝা-দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা রণবীর কপূর অভিনীত সেই ছবির। পরিচালনায় তাঁর বন্ধুপ্রতীম অয়ন।