মধ্যমগ্রামে জোড়া খুন

বাবু খুনে এ বার গ্রেফতার আরও এক বাবু

এক বাবু খুনে গ্রেফতার দুই বাবু। জমি মাফিয়া বাবু সেন খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল বাবু মণ্ডল। এ বার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল তারই সঙ্গী বাবু ঘোষ। সোমবার গভীর রাতে তাকে লেকটাউন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ১৩:১৪
Share:

ধৃত বাবু ঘোষ। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

এক বাবু খুনে গ্রেফতার দুই বাবু।

Advertisement

জমি মাফিয়া বাবু সেন খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল বাবু মণ্ডল। এ বার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল তারই সঙ্গী বাবু ঘোষ। সোমবার গভীর রাতে তাকে লেকটাউন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মধ্যমগ্রামের জনাকীর্ণ রাস্তায় গুলি চালিয়ে গত ৭ মে খুন করা হয় বাবু সেনকে। একই সঙ্গে খুন করা হয় তার সঙ্গী নুঙ্কাইকে। এই জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে বাবু মণ্ডলের নাম। গত ১৪ মে রাতে তাকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাবু মণ্ডল এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। জেরায় সে জানায়, বাবু সেনকে খুন না করলে নিজেই খুন হয়ে যেত। এর পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বাবু ঘোষ। পুলিশের দাবি, কখনও সে গা ঢাকা দিয়ে বনগাঁয় তার শ্বশুরবাড়িতে ছিল। কখনও বা লুকিয়ে ছিল মছলন্দপুরের বাড়িতে। খবর পেয়ে দু’ জায়গাতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু, আগে থেকে কী ভাবে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে উত্তরবঙ্গে পালিয়ে যায় সে। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে এসে সে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে তাকে লেকটাউনের বোট ক্লাব এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাবু ঘোষকে গ্রেফতারের পর মধ্যমগ্রাম জোড়া খুন মামলার ত্রিভুজ সম্পূর্ণ হল।”

Advertisement

পুলিশের দাবি, বাবু সেন আর বাবু মণ্ডল দু’জনেই প্রোমোটার। এলাকায় তাদের পরিচিতি জমি-মাফিয়া হিসেবে। ইদানীং তাদের মধ্যে রেষারেষি চরমে ওঠে। বাবু মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, বাবু সেন তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। তার পরেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে বাবু মণ্ডল। এর পরেই খুন হয়ে যায় বাবু সেন। অভিযোগের তির বাবু মণ্ডলের দিকে ওঠার পরেই রাজনীতিকে ঢাল করে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল সে। পরে অবশ্য এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাবু। কয়েক দিন পরে পুলিশ জানতে পারে, শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে উত্তরবঙ্গ চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বাবু। কিন্তু, ওই রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ বাবু মণ্ডলকে ধরে ফেলে।

এ বার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও এক বাবু। খুনের ঘটনাটিকে একটি ত্রিভুজ হিসেবে দেখলে তার তিনটি বাহুই কিন্তু এক এক জন বাবু। এদের এক জনকে খুন হতে হয়েছে। অন্য দুই বাবু আপাতত পুলিশের হেফাজতে। পুলিশের দাবি, রহস্যের জাল গোটাতে এ বার সুবিধা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন