বিহারে অটো-পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত ৫

অটোর সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। আহত হয়েছেন ৮ জন। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বিহারের সিওয়ান জেলায়। এই ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। আগুন ধরিয়ে দেয় হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুল্যান্স-সহ দু’টি গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:৪০
Share:

অটোর সঙ্গে পিক-আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। আহত হয়েছেন ৮ জন। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বিহারের সিওয়ান জেলায়। এই ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। আগুন ধরিয়ে দেয় হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুল্যান্স-সহ দু’টি গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

Advertisement

কী হয়েছিল এ দিন?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক জন স্কুলছাত্রকে নিয়ে একটি অটো বারহারিয়া থেকে সিওয়ানে যাচ্ছিল। শাহবাজচক এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যান সজোরে ধাক্কা মারে অটোতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। গুরুতর আহত হন ওই অটোর আরও কয়েক জন। তাংদের উদ্ধার করে সিওয়ান সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত কোনও চিকিত্সকের দেখা মেলেনি। শুধু মাত্র এক জন চিকিত্সকই ছিলেন ওই সময়। একটা গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে চিকিত্সকদের অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। একমাত্র কর্তব্যরত চিকিত্সক আহতদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তত ক্ষণে অবস্থার অবনতি হতে থাকে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের। পরে তাঁদের পটনা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বাকি তিন জনের মৃত্যু হয় বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক সিংহ। মৃতেরা হলেন শৈলেশ কুমার গুপ্ত, মনু গুপ্ত, পাপ্পু খান এবং সাজিদ আলি। বাকি এক জনকে শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এঁদের বাড়ি বারহারিয়া থানার রামপুর এবং মুরগি টোলা গ্রামে। আহত আট জনের মধ্যে অধিকাংশেরই অবস্থা সঙ্কটজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন অশোকবাবু। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরই হাসপাতালে চিকিত্সকের অনুপস্থিতি এবং চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় উত্তেজিত জনতা। হাসপাতালের আসবাবপত্র, শয্যা এবং গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। ছুটে আসেন জেলার পদস্থ প্রশাসনিক কর্তারাও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন