বোলপুরে নিখোঁজ আজাদ মুন্সির দেহ উদ্ধার

বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ‘তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতী’ হিসেবে পরিচিত আজাদ মুন্সির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে অজয় নদের চরে আজাদের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার দেহ সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় মিলেছে বলে জানিয়েছে বীরভূম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৯:৩২
Share:

বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ‘তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতী’ হিসেবে পরিচিত আজাদ মুন্সির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে অজয় নদের চরে আজাদের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার দেহ সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় মিলেছে বলে জানিয়েছে বীরভূম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

মাসখানেক ধরেই আজাদ বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। গত সপ্তাহের বুধবার সন্ধ্যা থেকেই আজাদ নিখোঁজ হয় বলে অভিযোগ করেন তার ভাই অঞ্জন মুন্সি। শুক্রবার বোলপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন অঞ্জন। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ জন অনুগামীর বিরুদ্ধে আজাদকে খুন করবার জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও শনিবার লিখিত অভিযোগ করা হয় তার পরিবারের তরফে।

আজাদ মুন্সির বিরদ্ধে ২০১০ সালে নানুরের সিপিএম বিধায়ক আনন্দ দাসকে খুন করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি খুন, তোলাবাজি এবং পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ ছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে কখনই ধরতে পারেনি। বোলপুরে তৃণমূলের যে দলীয় কার্যালয়ে সে আশ্রয় নিয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি অনুব্রত মণ্ডলের পরিচালনাধীন। যদিও ওই কার্যালয়ে আজাদের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন অনুব্রত।

Advertisement

এ দিন আজাদের দেহ মেলার পর অঞ্জন জানিয়েছেন, তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন