ফের বোমা বিস্ফোরণ। এ বার বীরভূমের কাঁকরতলা থানার ধুলকুমড়া গ্রামে। বাড়িতে মজুত রাখা বোমা অন্যত্র সরাতে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানিয়েছে, শেখ আলেব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ওই বোমা মজুত করা ছিল। এই ঘটনায় আহত শেখ মৌজাম, শেখ কালিম এবং শেখ মুনির নামে তিন ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতেরা কী ভাবে হাসপাতালে পৌঁছল, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের পরে এক মহিলা-সহ অন্তত তিন জন ওই আহতদের গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশের ধারণা, বাড়ি থেকে বোমা সরানোর সময় আলেবের বাড়ির উঠানেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে অবৈধ কয়লা কারবারিদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছিল। মাঝেমাঝেই সেখানে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে কি সেই কারণেই এত বোমা মজুত করা হয়েছিল ওই বাড়িতে? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে খাগড়াগড়-কাণ্ডের পর কোনও বিস্ফোরণের ঘটনাকে হাল্কা ভাবে দেখছে না পুলিশ-প্রশাসন। গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জন মারা যায়। গুরুতর জখম হয় এক জন। ওই দুই ব্যক্তি বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছে বলে তদন্তে নেমে প্রথমে জানিয়েছিল জেলা পুলিশ। পরে দেখা যায় ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। মালদহেও সম্প্রতি এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার কথা বেমালুম চেপে যায় জেলা পুলিশ। পরে যদিও অভিযোগ নথিভুক্ত হয়।