বৈশাখী আবাসনে উদ্ধার অগ্নিদগ্ধ মহিলার দেহ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:৪৭
Share:

স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে লাফ মেরেছিলেন স্বামী। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। অতটা উঁচু থেকে নীচে লাফ মারায় তাঁর পা ভেঙে যায়। পড়ে যাওয়ার পর আর এক পা-ও এগোতে পারেননি তিনি। কোনও রকমে পাশে গ্যারেজ করা নিজেরই অটোর ভিতর লুকিয়ে পড়েন ঘাপটি মেরে। পরে সেখান থেকেই পুলিশ আটক করে তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনে অগ্নিদগ্ধের এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মৌসুমী ওরাঁও (২২) মারা গিয়েছেন। স্ত্রীকে হত্যা করার সন্দেহে খোকন ওরাঁও নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎই সরকারি ওই আবাসনের ডি৪/১২ ফ্ল্যাটে আগুন দেখতে পান এলাকায় কর্তব্যরত এক গ্রিন পুলিশ কর্মী। আশপাশের লোকজনকে ডেকে তুলে তিনি দমকলে খবর দেন। দমকল এবং স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে দেখা যায়, তিনতলা ওই ফ্ল্যাটের একটি ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে আছেন এক মহিলা। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মতে, প্রায় ১০০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে তাঁর দেহ।

স্থানীয়দের দাবি, ওই ফ্ল্যাটে মা, স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে থাকতেন খোকন ওরাঁও (২৬) নামে এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি অটোচালক। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে খোকনের খোঁজ করে পুলিশ। পরে আবাসনের নীচে নিজের অটোর ভিতর কাতরাতে থাকা খোকনের সন্ধান মেলে। উদ্ধার করে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, পা ভেঙে গিয়েছে খোকনের। আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই অটোচালক। তবে আগুন কী ভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে তিনি খোলসা করে কিছু বলেননি বলে পুলিশের দাবি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবাশিস ধর বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন খোকন ওরাঁও। মেডিক্যাল কলেজে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।”

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার সকালে মা এবং সন্তানকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন খোকন। স্থানীয়দের একাংশের আশঙ্কা, মৌসুমীকে হত্যার ছক কষেছিল বলেই তিনি এক প্রকার জোর করেই তাঁদের বাড়ি থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন