মারা গেলেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ক্রিকেটার অঙ্কিত কেশরী

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ক্রিকেটার অঙ্কিত কেশরী (২১)। সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যুতে বাংলার ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া নামে এসেছে। গত ১৭ এপ্রিল সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সিনিয়র নকআউট কোয়ার্টার ফাইনালে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলছিল ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ১১:৩২
Share:

অঙ্কিত কেশরী। ছবি: পিটিআই।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ক্রিকেটার অঙ্কিত কেশরী (২১)। সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যুতে বাংলার ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া নামে এসেছে।

Advertisement

গত ১৭ এপ্রিল সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সিনিয়র নকআউট কোয়ার্টার ফাইনালে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলছিল ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর। সে সময় সৌরভ মণ্ডলের বলে ক্যাচ ওঠে। ক্যাচ ধরার জন্য সৌরভের পাশাপাশি অঙ্কিতও দৌড়তে শুরু করেন। দু’জনেরই দৃষ্টি ছিল বলের দিকে। আচমকাই দু’জনের মধ্যে সংঘর্ষে সৌরভের হাঁটু সজোরে অঙ্কিতের মাথা ও ঘাড়ের মাঝখানে লাগে। মাঠেই জ্ঞান হারান অঙ্কিত। প্রথমে মাঠেই আপত্কালীন চিকিত্সা করা হয়। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরিবার ও সিএবি সূত্রে জানানো হয়, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন অঙ্কিত। তাঁর মাথায় স্ক্যান করেও উদ্বেগজনক কিছু পাওয়া যায়নি। সুস্থ হয়ে তাঁর মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন পরিজন ও সতীর্থরা। কিন্তু এ দিন হঠাত্ই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা ক্রিকেট।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলতেন অঙ্কিত। বাংলার অনুর্ধ্ব ২৩ দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ডানহাতি এই তরুণ ক্রিকেটার বাংলার অনুর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়কত্বও করেছেন। ওই দিনের ম্যাচে প্রথম এগারো জনের মধ্যে ছিলেন না অঙ্কিত। দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসাবে ওই দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন তিনি। রেলওয়েজের অর্ণব নন্দীর পরিবর্তে সে দিন খেলতে নামেন। দুর্ঘটনার পর সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবেন। কিন্তু তাঁর আর মাঠে ফেরা হল না।
এ দিন তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সিএবি যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অঙ্কিতের মৃত্যুতে বাংলার অপূরণীয় ক্ষতি হল। খুব প্রমিসিং ক্রিকেটার ছিল সে। খুব ভাল ব্যাটসম্যানও ছিল।” ক্রিকেটার সৌরাশিস লাহিড়ি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে অঙ্কিত আর নেই। খবরটা পাওয়ার পর কি ভাবে রিঅ্যাক্ট করব বুঝতে পারছিলাম না।”
ক্রিকেটের মাঠে চোট পেয়ে মৃত্যুর উদাহরণ আরও রয়েছে। ২০১৪-র ২৫ নভেম্বরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাচে শন অ্যাবটের বাউন্সারে মাথায় মারাত্মক চোট পান ফিল হিউজ। মাঠেই জ্ঞান হারান তিনি। দু’দিন কোমায় আচ্ছন্ন থাকার পর মৃত্যু হয় ওই তরুণ ক্রিকেটারের। তাঁর মৃত্যু ক্রিকেটবিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তেমনই ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের হয়ে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় চোট পেয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন