ক্ষমতায় আসার আগেই নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘স্বচ্ছ গঙ্গা’ অভিযানের। এ বার ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সরব হলেন পরিবেশবিদদের একাংশ। গোমুখ থেকে হরিদ্বার— গোটা এলাকাকে ইউনেস্কো যাতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর মর্যাদা দেয়, সেই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদনপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
গঙ্গার পার্বত্য ধারা ও তার চারপাশের এলাকাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর তকমা দেওয়ার পরিকল্পনাটা অবশ্য সাম্প্রতিক নয়। এর আগে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রককে অনেক বার চিঠি লিখে বিষয়টা জানিয়েছিলেন পরিবেশবিদ রঞ্জিত্ ভার্গব। কিন্তু, তাঁর অভিযোগ, তাতে কোনও কাজ হয়নি। সেই জন্যই এ বার খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চান পদ্মশ্রী পাওয়া এই পরিবেশবিদ।
তিনি বলেন, “বিষয়টা মোটেও হেলাফেলার নয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীই তো গঙ্গা নিয়ে উত্সাহী! তাও কাজ হচ্ছে কই”!
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে বিগত ২০ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন ভার্গব। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বচ্ছ গঙ্গা’ অভিযান এখনও পর্যন্ত খুব বেশি এগোয়নি। তাঁর দাবি, “হবেই বা কী করে! গঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির সঙ্গে ইকো টাস্ক ফোর্সের প্রাক্তনীদের থাকাটা খুবই দরকার। তাতে তাঁরা কাজের পুরো সময়টাই গঙ্গাকে দিতে পারবেন”, বলেন ভার্গব।
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি ভার্গব এ বার দাবি তুলেছেন ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্ব ঐতিহ্যে পরিণত করায়। তিনি জানান, এর আগে বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীকে বেশ কয়েক বার চিঠি লিখে জানিয়েছেন। ভার্গব বলেন, “কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সানবারলাল জাট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে বিষয়টা উত্তরাখণ্ড সরকারের বিবেচনাধীন। যা করার, কেবল উত্তরাখণ্ড সরকারই করতে পারে। বার বার ব্যর্থ হয়ে এ বার তাই ঠিক করেছি বিষয়টা নিয়ে সরাসরি কথা বলব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই। গঙ্গাকে নিয়ে তাঁর আবেগের কথা কারও অজানা নয়। উনি নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করবেন।”