ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমে। এ বার ইলামবাজার থানার ধরমপুরে। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই সাগর ঘোষ খুন হওয়ার সময় থেকেই এই জেলায় একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই এ বার ধরমপুর পঞ্চায়েতের আকোনা গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। ঘটনা সেখানেই থেমে যায়নি। রবিবার রাতে ওই গ্রামে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, উভয় পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। তারই মধ্যে ওই দিন সন্ধ্যায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। এর পর ওই রাতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা এই কাজ করেছে। বিজেপি যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা তৃণমূলের দিকে তোপ দেগেছে। তাদের দাবি, বিজেপি-র উত্থানে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই, সহানুভূতি আদায় করতে নিজেদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিজেপি-র নামে অভিযোগ করছে। এই ঘটনায় ওই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে পৌঁছয়। গ্রামে পুলিশ ঢুকছে দেখে বেশির ভাগ গ্রামবাসী ঘর ছাড়তে শুরু করেন। সেই সময় একটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। বিজেপি-র দাবি, তাদের এক সমর্থকের বাড়িতে অসাবধনতাবশত আগুন লেগে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। তবে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে যে, ওই বাড়িটি তাদের এক সমর্থকের। বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
বিজেপি-র জেলা সম্পাদক তথা ইলামবাজারের ব্লক পর্যবেক্ষক চিত্তরঞ্জন সিংহ বলেন, ‘‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে। গ্রামে গ্রামে আমাদের কর্মী-সমর্থক বেড়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে ওরা (তৃণমূল) এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের ইলামপুর ব্লক সভাপতি জাফর আলি ইসলাম বলেন, ‘‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়েছে। এমনকী, আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’