ব্যারাকপুর আদালত চত্বরে আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের লর্ডসের মোড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি সূত্র্রের খবর, দিন কয়েক আগে বেলঘরিয়া থানায় তাঁর নামে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এ দিন বেলা দু’টো নাগাদ তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। অনুকূলের তরফে আইনজীবী অরিন্দম ঘোষ বিচারকের কাছে তাঁর জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু সরকারী পক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বিচারককে জানান, সেবির নির্দেশ অনুসারে গ্রাহকদের বকেয়া টাকা ফেরতের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সে কারণে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। বিচারক তাঁর ১১দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আর্থিক তছরুপের মামলায় সারদার নাম জড়ানোর পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক ছোট-বড় লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ জানাতে শুরু করেন আমানতকারীরা। শুরু হয় ধরপাকড়ও। বাজার থেকে ২৬০০ কোটি টাকা তুলে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যায় শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরও। গত মার্চেই একই রকম অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের সবচেয়ে বড় অর্থলগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।