শান্তিতেই মিটল যাদবপুরের গণভোট। উপাচার্য পদে অভিজিত্ চক্রবর্তীর থাকা উচিত কি উচিত নয়, এ প্রশ্নে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণভোট নেওয়া চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণভোট। এ দিন কলাবিভাগে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রথম পর্বের ভোটদান চলে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এর পরে সন্ধ্যে ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হয় দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ। শুক্রবারও গণভোট চলবে। এ ছাড়া আগামী ১১ এবং ১২ নভেম্বর হবে বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গণভোট হবে। এই গণভোটে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সুজাত ভদ্র, অনুরাধা তলওয়ার এবং আইনজীবী রুবি মুখোপাধ্যায়কে। এ দিন পড়ুয়াদের ব্যালট পেপারের ধাঁচে একটি করে কাগজ দেওয়া হয়। এই কাগজে মোট পাঁচটি প্রশ্ন আছে, যার প্রথম প্রশ্নটিই হল উপাচার্য পদে অভিজিত্ চক্রবর্তীর থাকা উচিত কি না। ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’-এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মতামত দেবেন।
এর আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে সুগত বসুকে চেয়ারম্যান করে মেন্টর গ্রুপ গড়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে মেন্টর হিসেবে মানতে না চাওয়ায় সেখানেও দু’দিন ধরে ভোট নিয়েছিল প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ।
১৬ সেপ্টেম্বর নিজের ‘প্রাণসংশয়ের আশঙ্কায়’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকেছিলেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। অভিযোগ ওঠে, ক্যাম্পাসে ঢুকে অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শহরের পথে বিক্ষোভ মিছিলও হয়।