স্বামীর খুনের অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার এন্টালি থানায় এফআইআর করলেন নিহত কোরপান শা-র স্ত্রী আরবিনা। গত ১৬ নভেম্বর রবিবার সকালে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ (এনআরএস) হাসপাতালের চিকিত্সক-ছাত্রদের হস্টেলের চারতলা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, রড-বাঁশ জাতীয় বস্তু দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বছর তিরিশের ওই যুবককে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, হস্টেলের ডাক্তার-ছাত্রদের একাংশ এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু খুনের কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। সেই মতো বুধবার বিকেলে কলেজের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে জেরা করার জন্য লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে খুনের পর তিন দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের কেন গ্রেফতার করা হল না এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি, হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
এ দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এসে হাইহাউ করে কাঁদতে থাকেন চার সন্তানের মা আরবিনা বিবি। তিনি বলেন, “স্বামীর খুনিদের শাস্তি চাই। টানাটানির সংসার। আমার কাজ চাই। সাহায্য না পেলে বাচ্চাদের মানুষ করব কী ভাবে?”
গত শুক্রবার উলুবেড়িয়ায় নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন কোরপান শা নামে ওই যুবক। পুলিশ জানায়, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিত্সাও চলছিল। এর আগেও কয়েক বার তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। কোরপানের পরিবার ও পড়শিদের বক্তব্য, মানসিক অসুস্থতার জন্যই তিনি মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেতেন। আবার নিজেই ফিরে আসতেন। তবে উলুবেড়িয়া থেকে কলকাতার এনআরএসে তিনি পৌঁছলেন কী ভাবে সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।