কাঠমাণ্ডুতে জিত্ বাহাদুরের পরিবারের সঙ্গে মোদী। ছবি: পিটিআই।
ষোলো বছর পর পুনর্মিলন! আর সেই পুনর্মিলনের নেপথ্যে স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। জিত্ বাহাদুর। মোদীর ধর্মপুত্র। বর্তমান বয়স ২৬। আমদাবাদে ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা। রবিবার এই জিতকেই তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে পুনর্মিলনের সাক্ষী হয়ে রইলেন তো বটেই, সেই সঙ্গে এক তৃপ্তির আস্বাদও পেলেন মোদী।
১৯৯৮ সালের ঘটনা। পেটের দায়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে ভারতে আসেন জিত্। তারপর বেশ কিছু জায়গায় কাজের পর ভাগ্যক্রমে মোদীর সান্নিধ্যে আসা এক মোদী-সহযোগীর হাত ধরে। মোদী তখনও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হননি। কিন্তু সে দিন জিতের সমস্ত দায়ভার নিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে লাগাতার জিতের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন তিনি। ১৬ বছর পর সেই অধ্যায়ের সুখকর পরিসমাপ্তি হল এ দিন।
দু’দিনের সফরে রবিবার নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন মোদী। সঙ্গে নিয়ে যান ধর্মপুত্রকে। এ দিন কাঠমাণ্ডুতে তাঁর পরিবারের হাতে জিতকে তুলে দেন মোদী। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মোদী নেপালের গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এ দিনের পারিবারিক সম্পর্ক যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তিনি জিতের মা খাগিসারাকে জিজ্ঞাসাও করেন, “এত বছর পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে কেমন লাগছে আপনার?” আবেগে বিহ্বল খাগিসারা মোদীকে তাঁর ছেলের দায়ভার নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। পরিবারকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জিত্ বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে এক জন ভিআইপি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আমি এত দিন থেকেছি। কিন্তু কোনও দিন মোদীজিকে এক জন ভিআইপি নয়, বরং দাদার মতোই দেখেছি।” ভারতে থাকতে থাকতে নিজের মাতৃভাষা ভুলে যাওয়া জিত্ তাঁর পড়াশোনা শেষ করতে ফের ভারতে ফিরে যাওয়ারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন এ দিন।