বেজায় গরমে এমনিতেই দেশজুড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তার উপর এল নিনোর দৌলতে এ বারের বর্ষা যে ক্রমাগত ভোগাবে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল দিল্লির মৌসম ভবন। ৫ জুন ভারতীয় ভূখণ্ডে বর্ষার পা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, এ দেশে বর্ষার পা রাখতে এখনও ৪৮ ঘণ্টা দেরি। তবে যে ভাবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে তাতে এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আপাতত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কেরলে পদার্পণ নিয়েই দুশ্চিন্তা দানা বেঁধেছে। অথচ চিরাচরিত আবহাওয়ার ক্যালেন্ডার মানলে ১ জুনেই এ দেশে বর্ষা শুরু হওয়ার কথা। আবহবিজ্ঞানীদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের জলস্তরের তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি চড়ে গিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে দ্রুত পাল্টে দেওয়ার ফলেই এই ভোগান্তি। মার্চ-এপ্রিলেও যার আঁচ মেলেনি। তাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা পৌঁছাতে এখনও যে ঢের দেরি তাতে সন্দেহ নেই। গত কয়েক বছরে ভারতে বর্ষা ক্রমশ পিছোচ্ছে। এর ফলে ভুগছেন কৃষকেরা। তাই মৌসম ভবনের দেওয়া সর্বশেষ খবরে তাঁদের দুর্ভোগ যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।