মঙ্গোলিয়ার স্টেট প্যালেসে মউ স্বাক্ষর মোদীর। ছবি: পিটিআই।
চিনের পর এ বার মঙ্গোলিয়া। ত্রিদেশীয় সফরে শনিবার রাতেই সে দেশে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মঙ্গোলিয়ার বিদেশমন্ত্রী এল পুরেভসুরেন। ‘ল্যান্ড অফ ব্লু স্কাই’ নামে পরিচিত মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে মোদীর এই সফর। রবিবার মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, “একশো কোটি ভারতীয়ের অভিনন্দন এনেছি আপনাদের জন্য। আজ সারা বিশ্ব জানবে দু’দেশের আত্মিক সম্পর্কের কথা।”
ঘটনাচক্রে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তি হচ্ছে এ বার। পাশাপাশি, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ২৫তম বর্ষপূর্তি পালন করছে মঙ্গোলিয়া। এই শুভ মুহূর্তে সে দেশে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পদার্পণ কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এ দিন পার্লামেন্টে প্রায় ২৫ মিনিট ভাষণ দেন মোদী। বক্তৃতা শেষে তিনি মঙ্গোলিয়ার জাতীয় প্রতীকের মধ্যে একটি পদ্মের প্রতীক দেখে আপ্লুত হয়ে বলেন, “এই প্রতীকও ভারতের সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করছে।”
এ দিন মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষর করেন মোদী। এর মধ্যে রয়েছে বিমান পরিষেবা, সীমান্ত সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা এবং অপ্রচলিত শক্তি-সহ ১৪টি বিষয়। মঙ্গোলিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে এ দিন এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন মোদী। এর পর সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক করেন তিনি। মঙ্গোলিয়ার বিখ্যাত উত্সব নাদাম-এরও সাক্ষী ছিলেন তিনি।