কাশ্মীরের একটি আশ্রয় শিবিরে এপির তোলা ছবি।
কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধের মেয়াদ ৪৮ ঘণ্টাও স্থায়ী হল না। ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর হামলা চালাল পাক রেঞ্জার্স। শনিবার দুপুরে পুঞ্চ জেলায় বিএসএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে গুলির লড়াই থামেনি।
গত কয়েকদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষবিরতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। গুলি-মর্টারের লড়াইয়ে প্রায় যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় সীমান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জম্মু, সাম্বা এবং কাঠুয়া জেলায় বিএসএফের ৬০টি চৌকিতে হামলার পাশাপাশি হামলা চালানো হয় ১৩০টি গ্রামেও। নিহত হন আট জন ভারতীয় নাগরিক। ১৩ নিরাপত্তারক্ষী-সহ আহত হন অন্তত ৯০ জন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৩২ হাজার মানুষকে। ভারতীয় সেনার পাল্টা আক্রমণে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাক হামলাকারীরা। সুর নরম করে শান্তির বার্তা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। এর পর ক্রমশ শান্ত হচ্ছিল সীমান্ত পরিস্থিতি। শুক্রবার বিএসএফের এক মুখপাত্র জানান, জম্মু ও সাম্বা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত ৯ অক্টোবর রাত থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত কোনও গুলি বিনিময় হয়নি। এর পরেই এ দিনের হামলা। বিএসএফ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ সীমান্তের ও-পার থেকে বিনা প্ররোচনায় পুঞ্চ জেলার বানওয়াত সেক্টরে বিএসএফের চারটি চৌকি লক্ষ্য করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
এ দিকে চলতি সংঘর্ষের জেরে সীমান্ত লাগোয়া ৫৭টি গ্রাম থেকে ১৯৯৮টি পরিবারকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৬১টি আশ্রয় শিবিরে এখনও হাজার দশেক মানুষ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।