রাহুল গাঁধী
ছুটির পর্ব শেষ! ইতি পড়ল অন্তরাল বিতর্কে। ৫৬ দিন পরে বৃহস্পতিবার দেশের মাটিতে পা রাখলেন রাহুল।
তাঁর এই অন্তরালে চলে যাওয়া নিয়ে শাহি দিল্লির অন্দরে গত দু’মাস ধরে ঘুরছে নানা প্রশ্ন। সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গাঁধী ছিলেন অন্তরালে। দলের তরফে জানানো হয় অমেঠির সাংসদ আপাতত ছুটিতে আছেন। কিন্তু, সংসদে বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের সময় বিরোধী দলের প্রধান মুখের এমন ছুটিতে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিজেপি-র প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে। কংগ্রেস যদিও বিষয়টিকে খুব একটা আমল দিতে চায়নি। তবে, অস্বস্তিও কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
এ দিন সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কক থেকে উড়ে আসা তাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে দিল্লি নামেন রাহুল। সেখান থেকে সোজা চলে যান ১২ তুঘলক রোডে তাঁর সরকারি বাসভবনে। সেখানে সকাল ১১টা থেকেই অপেক্ষা করছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা বঢ়ড়াও। এ দিন রাহুলের ঘরে ফেরার খবর পেয়ে তাঁর বাসভবনের সামনে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। বাজি-পটকা ফাটানোর পাশাপাশি তাঁরা ঢাক-ঢোল-নাকাড়াও বাজাতে থাকেন।
লোকসভা ভোটে বিজেপি-র প্রবল উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। কোনও রকমে কয়েকটি আসন তাদের দখলে এলেও দলীয় ভরাডুবির দায় গিয়ে বর্তায় রাহুলের ঘাড়েই। নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে দলের যুবরাজের কাঁধেই সকল দায়িত্ব দিয়েছিল কংগ্রেস।
ছুটি কাটিয়ে নতুন রণকৌশল নিয়ে যুবনেতা ফের সর্বসমক্ষে হাজির হবেন, কংগ্রেস নেতাদের একাংশ এমন ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। প্রায় দু’মাস পর দলের কী রণকৌশল রাহুল আমদানি করেন এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, এই দু’মাস কোথায় ছিলেন রাহুল? সে প্রশ্নের যদিও কোনও জবাব মেলেনি।