সারদাকাণ্ডে এ বার গ্রেফতার রজত মজুমদার

সিবিআইয়ের জালে এ বার প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু এবং সন্ধির অগ্রবাল-সহ সারদাকাণ্ডে এই নিয়ে সিবিআই তিন জনকে গ্রেফতার করল। রজতবাবুকে গ্রেফতার করার আগে এ দিন তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই অফিসে টানা তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বহু কোটি টাকার ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং তহবিল তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৩৪
Share:

রজত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের জালে এ বার প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু এবং সন্ধির অগ্রবাল-সহ সারদাকাণ্ডে এই নিয়ে সিবিআই তিন জনকে গ্রেফতার করল। রজতবাবুকে গ্রেফতার করার আগে এ দিন তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই অফিসে টানা তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বহু কোটি টাকার ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং তহবিল তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

গত ১৪ অগস্ট সিবিআই একযোগে বহু জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেই তালিকায় রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদারও ছিলেন। ওই দিন তাঁর পদ্মপুকুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তিনি তখন বোলপুরে ছিলেন। তল্লাশির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ফিরে আসেন কলকাতায়। তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। ওই সব নথি এবং রজতবাবুর বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় এর পরে তাঁকে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। সিবিআইয়ের জেরায় তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১১-র জুন থেকে ২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি সারদার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। সেই চুক্তির কাগজ, ব্যাঙ্কের নথি এবং আয়কর রিটার্নও তিনি গোয়েন্দাদের দেখিয়েছিলেন। সিবিআই জেরায় সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন, লাস ভেগাসে একটি প্রবাসী বাঙালিদের অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সে ব্যাপারেও জিঙ্গাসাবাদ করা হয় ওই প্রাক্তন পুলিশকর্তাকে।

রজতবাবু তৃণমূলের বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক ছিলেন। বসতেন তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে। তাঁর গ্রেফতার প্রসঙ্গে এ দিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সততার প্রতীক হিসেবে জানত জনসাধারণ। আজ তাঁর সততা কোথায় গেল?”

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ধৃত রজত মজুমদারকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

কে কী বলছেন

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সততার প্রতীক হিসেবে জানত জনসাধারণ। আজ তাঁর সততা কোথায় গেল?”

—সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম নেতা)

“নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”

—বাবুল সুপ্রিয় (বিজেপি সাংসদ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন