প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা রনজিৎ সিন্হার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোলগেট এবং টু-জি কেলেঙ্কারি মামলার অভিযুক্তদের সঙ্গে গোপন বৈঠক এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে প্রভাবিত করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত এই রায় দেয়। তদন্তে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন আপ নেতা তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সুপ্রিম কোর্টে রনজিৎ সিন্হার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন। একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে তিনি এই মামলার ভার নেন।
দেশ জুড়ে তোলপাড় হওয়া এই দুই কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সিবিআই অধিকর্তা বিরুদ্ধে। ২০১৪-র নভেম্বরে থানায় জেনারেল ডায়েরি দায়ের হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত চললেও দিল্লির অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোর তরফে কোনও এফআইআর করা হয়নি। সে কারণেই কোর্টের নজরে তদন্তের হাল-হকিকত তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে বলে ওই বেসরকারি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
ওই সংস্থার দাবি, তদন্তকারী অফিসারের অনুপস্থিতিতে রনজিৎ সিনহা অভিযুক্তদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন। এমনকী, নিজের অফিসেই তিনি এই বৈঠক করে তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তার উপরে তদন্তের মোড় অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য তদন্তকারী অফিসারের উপরেও চাপ সৃষ্টি করতেন তিনি। অভিযুক্তদের যে সিবিআই কর্তার বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল তা তাঁর বাড়ির ভিজিটর্স ডায়েরি থেকেই স্পষ্ট বলে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে। গত মার্চেই এই মামলা চলাকালীন রনজিৎবাবু বিচারককে জানিয়েছিলেন, সিবিআই অধিকর্তা হওয়ার দরুণ অভিযুক্তেরা বেশ কয়েক বার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে কখনওই তাঁদের সঙ্গে কোনও গোপন বৈঠক হয়নি। এ দিনও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি বিচারককে জানান।
টু-জি কেলেঙ্কারির তদন্তের ভার রনজিৎবাবু হাত থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরেই গত ডিসেম্বরে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অবসর নেন তিনি।