বিদেশে থাকা সহারার হোটেলগুলি বিক্রি করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও দশ দিন সময় চাইলেন সহারা কর্ণধার সুব্রত রায়। নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনের হোটেলগুলির জন্য ক্রেতা খুঁজতে তিহাড় চত্বরের সম্মেলন কক্ষে তৈরি বিশেষ জেলে রয়েছেন তিনি।
ছ’মাসেরও বেশি জেলে রয়েছেন সুব্রত রায়। তাঁর জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করতে বিদেশে থাকা সহারার বিলাসবহুল হোটেল ও রিসর্টগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পর থেকেই শুরু হয় ক্রেতার খোঁজ। জেলে বসে ইচ্ছুক ক্রেতাদের সঙ্গে কথা চালাতে তিহাড় জেলে বিশেষ সম্মেলন কক্ষ তৈরি করা হয়। তাঁকে সাহায্য করার জন্য সংস্থার দুই ডিরেক্টরকেও রাখা হয় ওই কক্ষে। গত মাসের মাঝামাঝি সুব্রতবাবু দাবি করেছিলেন হোটেলগুলির জন্য ক্রেতা পাওয়া গিয়েছে। তবে গোপনীয়তা রক্ষায় তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। তাঁর জামিনের জন্য একটি ব্যাঙ্ক ৫০০০ কোটি টাকা দিতে রাজি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে ব্যাঙ্কের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতকে সহারাকর্তা জানান, ব্রুনেইয়ের সুলতান তাঁর হোটেলগুলি কিনতে চাইছেন বলে খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই ভেস্তে যাওয়ার পথে হোটেল বিক্রির প্রক্রিয়া। অন্য ৩-৪ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও দিন দশেক সময় প্রয়োজন। সময় না বাড়ালে সমগ্র প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা।