শশী কপূরের হাতে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অরুণ জেটলি।
হ্যাটট্রিক করল কপূর পরিবার! পৃথ্বী, রাজ ও শশী— একই পরিবারের তিন সদস্যই দাদাসাহেব ফালকে নামাঙ্কিত পুরস্কারে ভূষিত হলেন। রবিবার শশী কপূরের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আর এ দিন সকালে শশী কপূরকে সেলাম জানাতে মুম্বইয়ের ঐতিহাসিক পৃথ্বী থিয়েটারে হাজির হন একঝাঁক বলিউড তারকা। শশীর এক সময়ের হিরোইন আশা পারেখ, শাবানা আজমি-সহ ছিলেন বলিউডের ‘হুজ হু’-রা। অনুষ্ঠানের মধ্যমণি শশীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অরুণ জেটলি। ১৯১৩ সালের প্রাপক হলেও অসুস্থতার জন্য গত বছরের ৩ মে রাজধানীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি শশী। সে কারণেই এ দিনের এই আয়োজন। বাবা পৃথ্বীরাজ ও দাদা রাজের পর সিনে জগতের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে দৃশ্যতই আবেগবিহ্বল ছিলেন ৭৭ বছরের শশী। যদিও তিনি হুইলচেয়ারেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
বাণিজ্যনগরীর শহরতলি জুহুতে পেশাদারি থিয়েটারের এক স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলেন শশী ও তাঁর প্রয়াত স্ত্রী জেনিফার কেন্ডেল। সালটা ছিল ১৯৭৮। নাম দেন ‘ পৃথ্বী থিয়েটার’। ঠিক যেমনটা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ। ১৯৪২-এর সেই চলন্ত থিয়েটারেরও নাম ছিল একই। দেড়শো সদস্যের সেই থিয়েটারের দল সারা দেশ ঘুরে নাটক মঞ্চস্থ করত। ১৬ বছর ধরে আড়াই হাজারেরও বেশি সফল প্রযোজনা করেছে সেই দল। পৃথ্বীকে ঘিরেই তৎকালীন বম্বের পেশাদার থিয়েটার গড়ে ওঠে। সিনেমার পাশাপাশি মুম্বইয়ের থিয়েটারের ইতিহাসেও তাই চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে শশী ও জেনিফারের নাম।
এ দিনের অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে তাই ‘দিওয়ার’, ‘কালা পাত্থর’, ‘কভি কভি’-র মতো ব্লকবাস্টার ফিল্মে তাঁর সহ-অভিনেতা অভিতাভ বচ্চন বলেন, “শশী ছাড়াও এই সম্মান তাঁর স্ত্রী জেনিফার কেন্ডেলের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।”
হিন্দি বাণিজ্যিক সিনেমা তো বটেই, তথাকথিত সমান্তরাল সিনেমায়ও ছাপ রেখেছিলেন শশী। চল্লিশ বছরের কেরিয়ারে প্রায় ১৭৫টিও বেশি ফিল্মে বলিউড ছাড়াও মার্চেন্ট-আইভরি প্রযোজিত ‘দ্য হাউসহোল্ডার’, ‘হিট অ্যান্ড ডাস্ট’ মতো হলিউড ছবিতে অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।
ছবি: পিটিআই।