তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বিজেপি প্রভাবিত ছাত্র-সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রানিগঞ্জের ত্রিবেণী দেবি ভালোটিয়া (টিডিবি) কলেজ। টিএমসিপির ছেলেরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তোলে এবিভিপি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ আনে টিএমসিপি। এই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় তিন ঘণ্টা কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। বিক্ষোভ তুলতে লাঠি চালায় পুলিশ। আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন।
ঠিক কী ঘটেছিল এ দিন?
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরের দিকে টিডিবি কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠক করতে যান এবিভিপি-র কয়েক জন সদস্য। অভিযোগ, বৈঠক সেরে বেরনোর সময় তাঁদের উপর হামলা চালান টিএমসিপির ছেলেরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে বহিরাগত বেশ কয়েক জন কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়েছিল। তাই তারা প্রতিবাদ করে। অন্য দিকে, পাল্টা অভিযোগ আনে এবিভিপি। অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চায় টিএমসিপির ছেলেরা। পরে এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভ তুলতে দু’পক্ষের উপরেই লাঠি চালায় পুলিশ। ঘটনায় কারওকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “বহিরাগতরা কলেজে এসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছিল। তাই আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করেছে।” অন্য দিকে, বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি নির্মল কর্মকার বলেন, “রাজ্য জুড়ে গুন্ডামি করছে শাসক দল। প্রশাসন যদি সতর্ক না হয় তা হলে এর জন্য দায়ী থাকবে পুলিশ।”