বেলুড়ে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ছাত্রী

কলেজ নেই তাই শুধু টিউশান সেরেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে বলে বেরিয়েছিল একুশ বছরের তরুণীটি। কিন্তু আধ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকজন পরিচিতদের ফোনে জানতে পারলেন হাসপাতালে পড়ে রয়েছে ওই তরুণীর নিথর দেহ। রেল লাইন পেরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি কানে হেড ফোন লাগানো থাকায় ট্রেনের আওয়াজ শুনতে না পাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৩৯
Share:

কলেজ নেই তাই শুধু টিউশান সেরেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে বলে বেরিয়েছিল একুশ বছরের তরুণীটি। কিন্তু আধ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকজন পরিচিতদের ফোনে জানতে পারলেন হাসপাতালে পড়ে রয়েছে ওই তরুণীর নিথর দেহ। রেল লাইন পেরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

যদিও কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি কানে হেড ফোন লাগানো থাকায় ট্রেনের আওয়াজ শুনতে না পাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তরুণীর পরিবারের একাংশ অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি। তাঁরা পাল্টা দাবি করেছেন, কানে হেড ফোন লাগিয়ে চলাফেরা করতেন না ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনের ধাক্কায় ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড় স্টেশনে। পুলিশ জানায়, নুপূর দত্ত নামে ওই ছাত্রীর বাড়ি বালির সাঁপুইপাড়ায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, সাঁপুইপাড়ার অধিকারী পাড়ার বাসিন্দা নীলকমল দত্তের একমাত্র মেয়ে নপূর। তিনি উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ইতিহাসের ছাত্রী। প্রতি দিনই তিনি সাড়ে ন’টা থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলেজে যেতেন। সেই মতো এ দিনও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তবে এ দিন কলেজে ক্লাস না থাকায় শুধু টিউশান পড়েই দুপুরের মধ্যে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবেন বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন নুপূর। তাঁর মা কল্পনাদেবী অসুস্থ। বাবা নীলকমলবাবু অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement