নীতীন গ়ডকড়ি ও অরবিন্দ কেজরিবাল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের বিরুদ্ধে মানহানির দু’টি মামলার শুনানির উপর তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাইয়ে।
২০১৪-র জানুয়ারিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নীতীন গডকড়িকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতা বলে অভিযোগ করেছিলেন কেজরিবাল। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে কেজরিবালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নীতীন। দাবি করা হয়, নীতীনের বিরুদ্ধে কেজরিবাল দুর্নীতির তথ্য দিয়েছেন তা ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু তাতেও আমল দেননি কেজরিবাল। এর পরেই দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করা হয়। তা সত্ত্বেও তিনি নীতীন সম্বন্ধে তাঁর এই অভিযোগেই অটল থেকেছেন। পরে ব্যক্তিগত জামিনে জেল থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘কোনও এক জনের কথায় আদালত আমাকে সাজা দিতে পারে না। আমি কোনও অপরাধ করিনি।’’
অন্য দিকে, ওই বছরেরই অক্টোবরে একটি ঘটনায় সুরেন্দ্রকুমার শর্মা নামে এক আইনজীবী অভিযোগ করেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আম আদমি পার্টির তরফে ২০১৩-র বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁকে জোর জবরদস্তি করা হয়। তাঁর দাবি, দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের জন্যই কেজরিবালের এই পদক্ষেপ।
সুরেন্দ্রর অভিযোগ ছিল, তাঁদের কথামতো তিনি প্রার্থী হওয়ার ফর্ম পূরণ করেন। কিন্তু পরে জানা যায়, দলের রাজনীতি বিষয়ক কমিটি তাঁর প্রার্থী পদ খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে তাঁর কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনে প্রভাব পড়েছে। নীতীন দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট এবং সুরেন্দ্রবাবু কারকারডুমা কোর্টে কেজরিবালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে দু’টি মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছে।