ভাঙচুর হওয়া ট্যাক্সি।
মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি করেছিল এলাকারই এক যুবক। স্থানীয় একদল যুবক সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে। আর তাতেই শুরু হয়ে যায় এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। শনিবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালিগঞ্জ থানার পেয়ারাবাগান বস্তি। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মোটর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়ি ভাঙচুর, কাচের বোতল ছুড়ে তান্ডব চালায় দুই গোষ্ঠীই। ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ৭ জন পুলিশ কর্মীও। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এলাকারই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত আকাশ দলুই পলাতক।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকে। ওই দিন সেই বিবাদে ইন্ধন জোগায় মহিলাদের উদ্দেশে কটুক্তি করার ঘটনা।
সংঘর্ষে জখম বাসিন্দারা।
শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আকাশ নামে স্থানীয় এক যুবক এলাকার কয়েকজন মহিলাকে লক্ষ করে কটূক্তি করতে শুরু করে। আকাশ মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। আকাশের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। তখনকার মতো ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় সে। কিছু পরে দলবল নিয়ে ফিরে এসে অন্য গোষ্ঠীর উপরে আক্রমণ চালায়। পাল্টা আক্রমণ চালায় বিরোধী গোষ্ঠীও।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ চলাকালীনই একদল যুবক একটি মোটর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সি ভাঙচুর করে। দুই গোষ্ঠীই একে অপরকে লক্ষ করে ইট, কাচের বোতল ছুড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও রবিবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
ভারপ্রাপ্ত ডিসি (এসইডি) রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘‘আকাশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ছবি: রনজিৎ নন্দী।