নদিয়ার কোতোয়ালিতে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন

গুধিয়া, মিনাখাঁর পর এবার নদিয়ার ভান্ডারখোলা। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের খুন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থল নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ভান্ডারখোলা এলাকায়। নিহতের নাম হানেফ শেখ (৬০)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৪ ১২:০৯
Share:

গুধিয়া, মিনাখাঁর পর এবার নদিয়ার ভান্ডারখোলা। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের খুন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থল নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ভান্ডারখোলা এলাকায়। নিহতের নাম হানেফ শেখ (৬০)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী হানেফের উপর হামলা চালায়। বাড়ির সামনেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হানেফের। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার সকাল ছ’টা নাগাদ কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ঘণ্টা দেড়েক বাদে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

Advertisement

হানেফের খুনের পিছনে সিপিএম ও বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের এই অভিযোগকে খারিজ করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণকেই দায়ী করেছে বিজেপি।

শুক্রবারে মুর্শিদাবাদে পিন্টু শেখ ও উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় সাজাহান গাজি নামে দুই তৃণমূল কর্মী খন হন। উভয় ক্ষেত্রেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে উঠে আসে। ওই দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জখম হন সাত জন।

Advertisement

শনিবারই বাঁকুড়ার এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন দলীয় কোন্দল তিনি বরদাস্ত করবেন না। কিন্তু তাঁর সেই বার্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন