এই পাঁচিল টপকানোর সময়ই বটি দিয়ে পায়ে কোপ মারেন। —নিজস্ব চিত্র।
ডাকাতি করতে এসে গৃহকর্ত্রীর বটির কোপে আহত হল দুই দুষ্কৃতী। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজারে। আহত এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক দুষ্কৃতী চম্পট দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মহম্মদবাজারের একটি সরকারি আবাসনে উত্তম বাউরি নামে এক ব্যক্তি তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন। উত্তমবাবু জলপ্রকল্প দফতরের কর্মী। তবে ঘটনার দিন আবাসনে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ধোনিদেবী ছিলেন। রাতে আবাসনের পাঁচিল টপকে এক দল দুষ্কৃতী বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে।
উত্তমবাবু জানিয়েছেন, ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রাতে তিনি গ্রিল খুলে বাইরে বেরিয়েছিলেন। এর পর দরজার কাছে কিছু শব্দ শুনে তিনি ফিরে এসে দেখেন, দরজার বাইরে দু’জন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক জনের হাতে হাঁসুয়া। ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার করে উঠলে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে তারা। স্বামীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় ধোনিদেবীরও। তিনিও চিৎকার করেন। কিন্তু তাতে রান্নাঘরে সিলিন্ডারের পাইপ খুলে দেয় দুষ্কৃতীরা। চিৎকার করলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা।
এর পর চিৎকার করার আর সাহস পাননি ধোনিদেবী। দুষ্কৃতীদের কথামতো আলমারির চাবি বের করে দেন। চোখের সামনেই দুষ্কৃতীরা একে একে কম্পিউটার, টিভি এবং আলমারি থেকে নগদ টাকা বের করে নেয়। ধোনিদেবী জানান, দুষ্কৃতীরা সব কিছু নিয়ে পাঁচিলের ওপারে রেখে দিয়ে আসছিল। এক দুষ্কৃতী টিভি নিয়ে পাঁচিল টপকাতে যায়। তখনই পাশে পড়ে থাকা বটি তুলে তিনি সজোরে তার পায়ে কোপ মারেন। সেই সময় নীচে অন্য এক দুষ্কৃতী হাঁসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঘটনার পর সে পাঁচিলের উপরে থাকা দুষ্কৃতীকে বাঁচাতে গেলে ধোনিদেবী এক হাতে আহত দুষ্কৃতীকে ধরে রেখে অন্য হাতে তাকেও বটির কোপ মারেন। ডান হাতে গুরুতর চোট পেয়ে হাঁসুয়া নিয়েই চম্পট দেয় দ্বিতীয় দুষ্কৃতী।