বিপুল পরিমাণ সোনা-সহ শিলিগুড়িতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল দুই পাচারকারী। এদের নাম মহম্মদ আব্দুল মতিন এবং গোলাপ হোসেন। শুক্রবার রাতে ফুলবাড়ির কাছে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। ধৃতদের দশ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি চেক পোস্টে একটি গাড়িকে থামান কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতর (ডিআরআই)-এর গোয়েন্দারা। গাড়ির দুই সওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাবভাব সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদেরকে আটক করে শিলিগুড়িতে তাঁদের দফতরে নিয়ে যান তাঁরা। জেরায় ওই দুই ব্যক্তি জানায়, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরের মোরে দিয়ে তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সেখান থেকে গুয়াহাটি হয়ে শিলিগুড়ি পেরিয়ে সোনাগুলি কলকাতার বড়বাজারে পাচার করার কথা ছিল তাদের। আটক হওয়া সোনার পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ৮৭ কেজি। ধৃতদের কাছে থেকে ৩৭টি সোনার বাট, ৩৭৩টি সোনার বিস্কুট এবং চারটি কাট পিস (সোনার টুকরো) উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৪ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনাগুলিকে বাক্সে ভরে গাড়ির বনেটের মধ্যে বিশেষ আঠার সাহায্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোয়েন্দারা গাড়িটি যে সংস্থার সেই সংস্থার এক জন কর্মীকে ডেকে এনে গাড়িটির বনেট খুলে সোনা উদ্ধার করে।