সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য উত্তরপ্রদেশে বিশেষ ‘ল্যাবরেটরি’

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য এ বার দু’টি ‘ল্যাবরেটরি’ বসতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত থেকে আইন এবং প্রশাসনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই উদ্যোগ অখিলেশ যাদবের সরকারের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই দু’টি ‘ল্যাবরেটরি’ থেকে রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোথায় কী ঘটে চলেছে, তা নজরে রাখবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৫ ১৪:০১
Share:

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য এ বার দু’টি ‘ল্যাবরেটরি’ বসতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত থেকে আইন এবং প্রশাসনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই উদ্যোগ অখিলেশ যাদবের সরকারের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই দু’টি ‘ল্যাবরেটরি’ থেকে রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোথায় কী ঘটে চলেছে, তা নজরে রাখবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বুধবার রাজ্যের এডিজি অনিল অগ্রবাল বলেন, “উত্তরপ্রদেশ সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকে নজরে রাখার জন্য ল্যাবরেটরি বসানোর পরিকল্পনা মঞ্জুর করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে লখনউ এবং মেরঠে দু’টি ল্যাবরেটরি তৈরি হচ্ছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে, আশা করা যায় মাস দু’য়েকের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হবে।” তিনি জানান, যে অফিসার এবং সাব-ইনস্পেক্টররা এই ল্যাবরেটরিতে কাজ করবেন, তাঁদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অনিল অগ্রবাল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনমতকে প্রভাবিত করে। তাই আমাদের এটা জানা দরকার, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রাজ্যের কোথায় কী ঘটে চলেছে! নইলে আইনকানুন বলে তো আর কিছু থাকবে না!”

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই নজরদারির আওতায় থাকছে ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ আর টুইটার। সরাসরি কোনও পোস্ট ব্লক করার ক্ষমতা এই ল্যাবরেটরিগুলোর থাকছে না। তবে কোনও পোস্ট সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর মনে হলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উচিত ব্যবস্থা নিতে কসুর করবে না প্রশাসন। শুধু ব্যক্তিবিশেষই নয়, কোন পোস্টে কারা মন্তব্য করছেন বা কোন কোন পোস্ট কারা শেয়ার করছেন, সেটাও নজরে রাখবে এই ল্যাবরেটরিগুলি।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবেই আঘাত করছে বাকস্বাধীনতার অধিকারে— ঘুরেফিরে উঠে আসছে এই প্রশ্নটাই! গত মার্চে বাকস্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানের ৬৬এ ধারা রদ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। সেই কথা মাথায় রেখেই অখিলেশ যাদব সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রকম গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করার জন্য এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। বরং রাজ্য জুড়ে ঘটে চলা অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। যে ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিত্যনতুন অপরাধ ঘটে চলেছে, শুধুমাত্র সেটা আটকানোর জন্যই তৈরি হচ্ছে এই দুই ল্যাবরেটরি, দাবি সরকারের!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন