সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে ২৩ এপ্রিল, বুধবার চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে সোমবার অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট এবং আমানতকারীদের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি সংস্থা। যদিও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সারদা নিয়ে চূড়ান্ত রায়ের পরে তারা এই সংক্রান্ত নতুন মামলা নিয়ে মাথা ঘামাবে।
আবেদনকারী সংস্থা ‘অল ইন্ডিয়া স্মল ডিপোজিটর অ্যান্ড ফিল্ড ওয়ার্কার্স প্রোটেকশন কমিটি’ এ দিন শীর্ষ আদালতকে জানায়, অর্থলগ্নি সংস্থার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই সুযোগে অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি নিজেদের মতো কাজকর্ম করছে। ফলে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংস্থাগুলি পাততাড়ি গুটিয়ে নিলে আমানতকারীদের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁদের এজেন্টরাও। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদনে এজেন্ট এবং আমানতকারীদের ওই সংস্থার পক্ষ থেকে মামলা করেন আইনজীবী কৃষ্ণন বেণুগোপাল এবং পীযূষ রায়। অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির রমরমা ঠেকাতে এজেন্ট ও আমানতকারীদের ওই সংস্থার পক্ষ থেকে একটি জাতীয় উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠনের আবেদনও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে।
এ দিন মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি সি নাগপ্পন-এর এজলাসে। এই দু’জন বিচারপতির এজলাসেই সারদা মামলা চলছে। আবেদন শোনার পরে দুই বিচারপতি সারদা মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। বিচারপতি ঠাকুর এবং বিচারপতি নাগপ্পন বলেন, “মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই সারদা মামলার রায় দিতে চলেছি। আপনারা রায়টা দেখে নিন। সেই রায়ের পরে যদি নতুন অংশ যোগ করার কথা মনে হয়, তা হলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আপনারা আবেদন জানাবেন।”