চরম হয়রানির শিকার যাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
অসমে গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে আদিবাসী সংগঠনগুলির ডাকা বন্ধের প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও। অসমে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও তাদের নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার সকালে পুরুলিয়ার মধুকুণ্ডায় প্রায় তিন ঘণ্টা রেল অবরোধ করে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। আটকে পড়ে লোকাল ট্রেন-সহ গুয়াহাটি-চেন্নাই, টাটা-বিলাসপুর এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস ট্রেনও। চরম হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। এ দিন সকাল থেকে বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পুরুলিয়ার পাশাপাশি বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধের জেরে সকাল থেকেই ভোগান্তি চরমে ওঠে সাধারণ মানুষের। বন্ধ যায় সড়ক পরিষেবা। আটকে পড়েন বর্ষশেষে জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পিকনিক করতে আসা বহু পর্যটক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মানার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
এ দিন সকালে মালদহের গাজোলের কদুবাড়ির কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আদিবাসীরা। মালদহের কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয় দোকান পাট। উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪ নম্বর ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীরা। অবরোধ করেন রাজ্য সড়কও। আটকে পড়ে দূরপাল্লার বাস।