ভিড়ে ঠাসা রাস্তা। তিলধারণের জায়গা নেই। উত্তেজিত জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ‘খোকাবাবু’-র রোড-শো ঘিরে শুক্রবার ঠিক এমনই ছবি ছিল পাঁশকুড়ায়। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় সভা ও রোড-শো করেছেন দেব। পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে এ দিনই প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরে এলেন তিনি। সকাল পৌনে ১০টা থেকে প্রায় দুপুর সোওয়া ২টো পর্যন্ত মূলত পাঁশকুড়ার গ্রামীন এলাকায় রোড-শো করলেন তারকা প্রার্থী। ‘খোকাবাবু’-র রোড-শো সফল করতে এ দিন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ছিল মহিলা পুলিশও।
পাঁশকুড়ার যশোরা-কালীবাজার এলাকা থেকে এ দিন সকাল প্রায় পৌনে দশটা নাগাদ রোড-শো শুরু হয়। যশোরা থেকে একে একে হরিনারায়ণপুরের মালিদা বাজার, মাঠ যশোরা, চকগোপাল হয়ে সকাল ১১টা ১০মিনিট নাগাদ কনভয় পৌঁছয় শাহলাজপুরে। সেখানে হঠাত্ই গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটেই প্রচার শুরু করেন তিনি। দেবের সঙ্গে এ দিন রোড-শোয়ে ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পাঁশকুড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান নন্দ মিত্র-সহ তৃণমূলের নেতারা। প্রায় এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কনভয় পৌঁছায় রাধাবল্লভপুরে। সেখান থেকে বিশ্রা, বলরামপুর, মুগদাড়ি, শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম ঘুরে রাজশহরে পৌঁছন তিনি। রাজশহরে দেবকে আবির দিয়ে সম্বর্ধনা জানান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি মেটাতে পঞ্চমদুর্গা বাজার হয়ে জানাবাড় গ্রামের মেঠো পথ ধরে বেশ কিছুটা ভিতরে ঢোকে দেবের কনভয়। নিজস্ব স্টাইলে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বলেন, ‘‘কেমন আছ, ভালো আছ তো? আমাদের সমর্থন করবে তো?’’
আট থেকে আশি ‘খোকাবাবু’কে দেখতে এ দিন হাজির ছিলেন সবাই। মঙ্গলদাড়ি, ধনঞ্জয়পুর হয়ে দুপুর ১টা নাগাদ বেলদা গ্রামে ঢোকার সময় হঠাত্ই বেজে ওঠে তাঁর ছবির অতি পরিচিত গান ‘পাগলু..থোরা সা করলে রোম্যান্স।’ ধান-দুব্বো দিয়ে ঘরের ছেলেকে আর্শীবাদ করেন ৯২ বছরের এক বৃদ্ধা। বেলদা থেকে মহাপুর হয়ে গোবিন্দপুরের রাতুলিয়া বাজারের কাছে দুপুর সোয়া ২টো নাগাদ শেষ হয় ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড-শো।