ইবোলা আক্রান্ত আফ্রিকার লাইবেরিয়া এবং সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১২ জন ভারতীয়ের দেশে ফেরার কথা মঙ্গলবার। ইতিমধ্যেই সোমবার মধ্যরাতে সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তাঁদের বেশ কয়েক জন মুম্বই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন। বাকিদের বেশির ভাগেরই বিভিন্ন উড়ান সংস্থার বিমানে এ দিন মুম্বই পৌঁছনোর কথা। বেশ কয়েক জন আবার দিল্লিতে নামবেন। সেখান থেকে অন্তর্দেশীয় বিমানে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে নামা যাত্রীদের মধ্যে তিন জনকে ইবোলা সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করতে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই যাত্রীরা দোহা থেকে এ দিন সকালেই দিল্লি নেমেছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল মুম্বই। তাঁরা ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করে দেখতেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবারই মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছিল, অবতরণের পরই ইবোলা আক্রান্ত দেশগুলি থেকে আসা বিমানগুলিকে প্রথমে প্রত্যন্ত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিমানের সিঁড়ির উপরে ওই ভারতীয় যাত্রীদের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। প্রাথমিক ভাবে কোনও যাত্রীর দেহে ইবোলা ভাইরাস ডিজিজের কোনও উপসর্গ নজরে এলে অ্যাম্বুল্যান্স করে বিশেষ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের। প্রাথমিক পরীক্ষায় সন্দেহজনক কিছু না পাওয়া গেলে ওই যাত্রীদের বিমানবন্দরের অভিবাসন এবং শুল্ক বিভাগের কার্যালয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়াা হবে। তার পর মিলবে বিমানবন্দরের বাইরে বেরোনোর অনুমতি। লাইবেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের উপরেই সতর্কতামূলক এই নজরদারি চালানো হবে।
ইথিপিয়ান এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, এতিহাদ, কাতার এয়ারওয়েজ, জেট এয়ারওয়েজ এবং সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজের বিমানে ওই যাত্রীদের দিল্লি এবং মুম্বইয়ে আসার কথা বলে মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়। তারা জানিয়েছে, ওই সব যাত্রীদের ব্যাগ ও মালপত্রও সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থাকে আলাদা ভাবে তাদের হেফাজতে রাখতে হবে। পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে সমস্ত যাত্রী নেমে যাওয়ার পর ওই সব মালপত্র জীবানুমুক্ত করে বিমান থেকে নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।