একের পর এক জাতি বিদ্বেষমূলক হামলায় উত্তর-পূর্বের মানুষদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিচলিত হয়ে হেল্পলাইন চালু করল মোদী সরকার। শনিবার এই পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজ্জু। তিনি জানান, রাজধানী দিল্লির উপকন্ঠে গুরগাঁও শহরেই প্রথম এই পরিষেবা চালু করা হবে। এই প্রকল্প সফল হলে দেশের অন্য সব মেট্রো শহরগুলিতেও উত্তর-পূর্বের মানুষদের জন্য এই পরিষেবা ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে ঘোষণা করেন রিজ্জু।
রিজ্জু জানান, দেশের অখণ্ডতা এবং সংহতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের মানুষদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত্ করার বিষয়ে তাঁর আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজ্জু।
চলতি বছরে খাস রাজধানীর বুকে জাতি-বিদ্বেষের শিকার হন অরুণাচলের ছাত্র নিদো টানিয়াম। তাঁর চেহারা ও চুলের রং নিয়ে ব্যঙ্গ করায় দিল্লির লাজপত নগরে কয়েক জন দোকানদারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। দেহে অভ্যন্তরীণ আঘাত নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় এআইআইএমএস হাসপাতালে। কিন্তু তাও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। এর পরই উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের সদস্য এমপি বেজবড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ১১ জুলাই সেই কমিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে রিপোর্টও পেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। কমিটির সুপারিশ শীঘ্রই প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিজ্জু।
গত বুধবার ১৫ অক্টোবর নাগাল্যান্ডের তিন যুবকের উপর হামলা চালানো হয় গুরগাঁওতে। এই হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং এবং রাজ্যের একমাত্র সাংসদ নেইফিউ রিয়ো। শুক্রবারই দোষীদের শাস্তির দাবিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিংহ হুডাকে চিঠি লেখেন জেলিয়াং। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন সাংসদ নেইফিউ রিয়ো। দোষীদের শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি তিনি আক্রান্তদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপুরণও চান।