রাজধানীতে উবের ট্যাক্সিতে ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক শিবকুমার যাদবকে আগামি ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। তদন্তকারী অফিসারেরা বুধবার মথুরা থেকে ওই ট্যাক্সিচালকের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন যার মধ্যে উবের-এর অ্যাপ ছিল। শিবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ওই আইফোন। একই জায়গা থেকে আরও তিনটি ফোন উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। সেগুলিও শিবকুমার ব্যবহার করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর উবের-চালক শিবকুমারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আর এক মার্কিন মহিলা নিধি শাহ। এই ব্যাপারে উবেরে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। এ দিন ইমেল মারফত দিল্লি পুলিশের কাছে আইনি সহযোগিতা চান ওই মহিলা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চাইলে ইমেল মারফত ধৃতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন তিনি।
গত শুক্রবার দিল্লিতে উবের ট্যাক্সিতে ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সারা দেশে এই ধরনের ওয়েব-নির্ভর ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেই নির্দেশ মেনেই হায়দরাবাদ এবং রাজধানীতেও উবের পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। মোবাইল অ্যাপস-এর সাহায্যে ট্যাক্সি বুকিং-এর পরিষেবা দেওয়া ওই মার্কিন সংস্থা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গগন ভাটিয়া নামে উবের-এর জেনারেল ম্যানেজারকে। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও ওঠে, কেবলমাত্র শিবকুমারই নয়, কোনও চালক সম্পর্কেই সবিস্তার তথ্য দিতে পারেনি ওই সংস্থা। দিল্লিতে উবেরের হয়ে কাজ করেন অন্তত চার হাজার চালক। তাঁদের সম্পর্কেও কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই তাঁর কাছে। কেবলমাত্র যাত্রীদের সঙ্গে ফোনে কী ভাবে কথা বলতে হয় এবং উবের অ্যাপটি স্মার্টফোনে কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণই চালকদের দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।