ইন্টারনেটে ডেভিড হাইনেসের এই ছবিই প্রকাশ করেছে জঙ্গিরা। ছবি: এপি।
ড্যানিয়েল পার্ল, জেমস ফোলি, স্টিভেন সটলফ-এর পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিদের হত্যার তালিকায় ঢুকে পড়লেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী ডেভিড হাইনেস। প্রকাশ করা হল জেভিডের মুণ্ডচ্ছেদের একটি ভিডিও। ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড ফ্রান্সের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন। এক বছর আগে সিরিয়া থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।
জেমস ফোলি, স্টিভেন সটলফের ভিডিও-র সঙ্গে ডেভিডকে হত্যার ভিডিও-র খুবই মিল রয়েছে। জেমস, স্টিভের মতোই জেভিড-ও কমলা পোশাক পড়ে হাঁটু মুড়ে মরুভূমিতে বসে আছেন। পাশে কালো পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছে আততায়ী। ‘আ মেসেজ টু অ্যালাইস অফ আমেরিকা’ শীর্ষক এই ভিডিও-য় জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আমেরিকার পক্ষ নেওয়ার জন্যই ডেভিডয়ের প্রাণ যাচ্ছে। যে ভাবে তিনি আইএস-এর বিরুদ্ধে কুর্দ পেশমেরগা যোদ্ধাদের মদত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তারও সমালোচনা করা হয়। এর আগে আইএস-এর হাতে শুধু মার্কিন সাংবাদিকদের প্রাণ গিয়েছিল। এই প্রথম আইএস-এর হাতে এক ব্রিটিশ নাগরিকের প্রাণ গেল।
৪৪ বছরের ডেভিড স্কটল্যান্ডের পার্থ-এর বাসিন্দা। তাঁর দু’সন্তান রয়েছে। তিনি তাঁর বর্তমান স্ত্রী-য়ের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ায় বসবাস করতেন। ভিডিওটিতে ডেভিডয়ের কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে। তিনি তাঁর হত্যার জন্য বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকেই দায়ী করেছেন। ক্যামেরন বলেন, ‘‘এটি পুরোপুরি শয়তানের কাজ।’’ ডেভিডের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘যত দীর্ঘ সময়ই লাগুক না কেন, সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে ডেভিডের হত্যাকারীকে খুঁজে তার বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’’
এই ভিডিও-য় আততায়ী একই ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলেছেন। আততায়ী একই কি না, তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। এই বিষয়ে ক্যাবিনেটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোবরা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ক্যামেরন। এই হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। ভিডিও-র শেষে আর এক ব্রিটিশ নাগরিক অ্যালেন হেনিং-ও তাদের কব্জায় আছেন বলে দাবি করেছে আইএস।