পুরুষদের শ্যুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় দল। রবিবার পিটিআই-এর তোলা ছবি।
ইনচিওন এশিয়াডের তৃতীয় দিনে ব্যাডমিন্টন ও শ্যুটিংয়ের দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত। ১৯৮৬ সালে সোলের পর এশিয়ান গেমসে এই প্রথম ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জিতল ভারতের মহিলা দল। অন্য দিকে, ১৭তম এশিয়ান গেমসের প্রথম দিন ব্যক্তিগত সোনা জয়ের পর রবিবার পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জিতলেন জিতু রাই ও তাঁর সতীর্থরা।
এ দিন মহিলাদের ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে আয়োজক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জোর লড়াই করলেন সাইনা-সিন্ধুরা। ১৯৮৬-তে শেষ বার পুরুষদের ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জেতে ভারত। এ দিনের সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ নম্বর সুন ঝিয়ুন-এর বিরুদ্ধে ২১-১২, ১০-২১, ২১-৯ জিতে দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেন সাইনা নেহওয়াল। কিন্তু পরের তিনটি ম্যাচেই হেরে যান ভারতের মহিলারা। পি ভি সিন্ধুকে হারিয়ে টাই ১-১ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৬ নম্বর খেলোয়াড়। ডাবলসেও পরাজিত হয় ভারত। এর পরে ফিরতি সিঙ্গলসেও হেরে ফাইনালের টিকিট হারায় ভারত। তবে এশিয়ান ব্যাডমিন্টনে এই প্রথম মহিলাদের ব্রোঞ্জ জিতল ভারত। এর আগে এশিয়ান গেমসের সাতটি পদকই ছিল পুরষদের।
ব্যাডমিন্টন ছাড়াও রবিবার শ্যুটিংয়ের দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত করে ভারত। তবে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে উঠলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি জিতু এবং তাঁর সঙ্গীরা। পঞ্চম স্থানে থেকে আট জনের ফাইনাল শেষ করেন জিতু। কাজাখস্তানের রশিদ ইউনুসমেটোভের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছনে থেকে ৫৮৫ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। ফাইনালে অন্য দুই শ্যুটার সমরেশ জুঙ্গের ৫৮০ এবং প্রকাশ নানজাপ্পার ৫৭৪ পয়েন্টের ফলে চিনের সঙ্গে ভারতেরও দলগত পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৭৪৩।
কিন্তু ভারতের (৬৪ বার) থেকে মাত্র এক বার বেশি ‘বুলসআই’ হিট করে চিন। ফলে অল্পের জন্য রুপোর পদক হাতছাড়া হয় ভারতের। ১৭৪৪ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জেতে দক্ষিণ কোরিয়া। এ দিন পদক জয়ের পরে সমরেশ জুঙ্গ বলেন, “কেবলমাত্র রুপোই নয়, আমরা অল্পের জন্য সোনাও হারিয়েছি।”