কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত বহরমপুর, জখম ৫

হয় এলাকা দখল, নয় কার্যালয় দখল। রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানি চলছেই। এ বারের ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে শনিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বহরমপুরের উত্তরপাড়া। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপাড়া মোড়ে কংগ্রেসের ওই কার্যালয়টি দখল নিয়েই এ দিন দুপুরের দিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। লাঠি, রড নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৬
Share:

জখম জেলা কংগ্রেস সভাধিপতির দেহরক্ষী। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

হয় এলাকা দখল, নয় কার্যালয় দখল। রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানি চলছেই। এ বারের ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ।

Advertisement

দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে শনিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বহরমপুরের উত্তরপাড়া। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপাড়া মোড়ে কংগ্রেসের ওই কার্যালয়টি দখল নিয়েই এ দিন দুপুরের দিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। লাঠি, রড নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। ঘটনায় জেলা কংগ্রেস সভাধিপতির দেহরক্ষী-সহ দলের পাঁচ জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। আহতদের মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ওই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল এই দিন?

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুরের রাধারঘাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তরপাড়া মোড়ে কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। শুক্রবার রাতে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী ওই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ দিন দুপুরের দিকে ফের ওই কার্যালয়টি দখল করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। দু’পক্ষের বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, লাঠি, রড নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। পাল্টা জবাব দেয় কংগ্রেসও। এই ঝামেলার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে বিশাল পুলিশবাহিনী।

মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “গায়ের জোরে আমাদের কার্যালয় দখল করেছিল তৃণমূল। বাধা দিতে গেলে অতর্কিতে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় ওরা।”

জবরদখলের এই অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। তাঁর দাবি, কার্যালয়টি ফাঁকা পড়ে থাকায় দলের লোকজন সেখানে বসতে গিয়েছিল। তখনই তাঁদের মারধর করতে শুরু করে কংগ্রেসের কয়েক জন কর্মী। তিনি বলেন, “অধীর চৌধুরী ওই অফিস তৈরি করেননি, আমাদের টাকাতেও ওই অফিস তৈরি হয়নি। যে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা ওই অফিস তৈরি করেছিলেন তাঁরা এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই ওই কার্যালয়ে বসে আমরা জনসাধারণের জন্য কাজ করব ভেবেছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন