কাশীপুরে দুই সন্তান-সহ মায়ের দেহ উদ্ধার

দুই সন্তান-সহ মায়ের দেহ উদ্ধার হল কাশীপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানার গোপাল চ্যাটার্জি লেনের এফসিআই বস্তিতে। মৃতার নাম সুমিত্রা দেবী যাদব(৩৫)। তাঁর দুই সন্তানের নাম আদর্শ যাদব(১১) এবং ঐশ্বর্যা যাদব (৭)। দু’জনেই বড়বাজার জ্ঞান ভারতী স্কুলের সপ্তম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৫৪
Share:

দুই সন্তান-সহ মায়ের দেহ উদ্ধার হল কাশীপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানার গোপাল চ্যাটার্জি লেনের এফসিআই বস্তিতে। মৃতার নাম সুমিত্রা দেবী যাদব(৩৫)। তাঁর দুই সন্তানের নাম আদর্শ যাদব(১১) এবং ঐশ্বর্যা যাদব (৭)। দু’জনেই বড়বাজার জ্ঞান ভারতী স্কুলের সপ্তম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। সুমিত্রার স্বামী উমাশঙ্কর যাদব পেশায় লরির চালক। দিন পনেরো আগে তিনি লরি নিয়ে নাসিকে যান বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিন সুমিত্রাদেবীর ঘর থেকে একটি নোটও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁদের দাবি ওই নোটে পারিবারিক অশান্তির কথা লেখা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে সন্তানদের মৃত্যু নিশ্চিত করে আত্মঘাতী হন সুমিত্রাদেবী।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, উমাশঙ্কর এবং সুমিত্রাদেবী আদতে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ এলাকার বাসিন্দা। বছর পনেরো আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সংসারের আর্থিক অনটন নিয়ে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তাঁদের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দাম্পত্য অশান্তির জেরে সন্তানদের ফেলে এক বার দু’বছরের জন্য ফৈজাবাদ চলে গিয়েছিলেন সুমিত্রাদেবী। পরে স্বামীই তাঁকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

সুমিত্রাদেবীর শ্বাশুড়ি মায়াদেবী যাদব জানান, রোজ সকাল সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়ত নাতি-নাতনি এবং বৌমা। কিন্তু এ দিন সাড়ে সাতটা বেজে গেলেও তাঁরা দরজা না খোলায় বাইরে থেকে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন মায়াদেবী। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে দেখেন ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছেন সুমিত্রেদেবী। আর বিছানায় পড়ে রয়েছে তাঁর নাতি-নাতনির নিথর দেহ।

Advertisement

গোপাল চ্যাটার্জি লেনের এফসিআই বস্তির একটি ঘরে স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সুমিত্রাদেবী। এই দিন উমাশঙ্করের ভাই গৌরীশঙ্কর যাদব বলেন, “আমাদের মতো সব পরিবারেই কমবেশি অশান্তি রয়েছে। তার জেরে এমন পরিণতি হবে তা কোনও দিন ভাবিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন