কমিশন কর্মীদের হেনস্থা কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রীর জামাই-সহ সাত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:১৭
Share:

নির্বাচন কমিশন কড়া হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মানিকচক কাণ্ডে কমিশন শুক্রবার বিকেলের মধ্যে ডিজি-র রিপোর্ট তলব করার পরেই এফআইআর-এ নাম থাকা আরও চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এঁদের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই টিঙ্কু ওরফে সোমদীপ সরকারও রয়েছেন। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা মতিউর রহমান, জামাল খান, তৃণমূলের মানিকচক ব্লক সভাপতি মুকুলেশ্বর রহমানকে। আগামিকাল এই চার জনকে আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের ক্যামেরা ফুটেজ দেখে বৃহস্পতিবার রাতেই খয়েরতলা গ্রাম থেকে তৃণমূল নেতা নীলকান্ত সিংহকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কমিশন কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কালু শেখ ও বিপিনবিহারী মণ্ডল নামে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ দিন ধৃত নীলকান্ত সিংহ, কালু শেখ ও বিপিনবিহারী মণ্ডলকে আদালতে তোলা হলে তাঁদের দু’দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

অন্য দিকে এ দিন মালদহের অভীকপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থীর নেতৃত্বে শতাধিক বাইক নিয়ে মিছিল বার করেন তৃণমূল কর্মীরা। অন্তত চার ঘণ্টা ধরে রোড শো করে এই বাইক মিছিল। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এই মিছিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ দিনের মিছিল নিয়ে বিডিও অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের অভীকপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শুভঙ্কর মিশ্র। ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও অর্ণব রায় বলেন, ‘‘আমি এখন ব্লকের বাইরে আছি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’

বৃহস্পতিবার সকালে মানিকচকের খয়েরতলায় তৃণমূলের বাইক মিছিলে বাধা দিলে নির্বাচন কমিশনের ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ (এমসিসি) অফিসারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। জখম হন এমসিসি-র দু’জন ওসি-সহ আট জন কর্মী। ঘটনাস্থলে দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনও উপস্থিত ছিলেন বলে কমিশনের অভিযোগ। যদিও কমিশনের কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement