কলকাতা থেকে গ্রেফতার খাগড়াগড়-কাণ্ডের মাথা সাজিদ

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) নয়, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল মাথা সাজিদকে গ্রেফতার করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিমানবন্দর থানা এলাকার যশোহর রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:৪২
Share:

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) নয়, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল মাথা সাজিদকে গ্রেফতার করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিমানবন্দর থানা এলাকার যশোহর রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি টাকা লেনদেনের ফাঁদ পেতে তাকে ধরা হয় বলে কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এ দিন তাকে এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনআইএ যে জঙ্গি মডিউলের সন্ধান পায় তারই মাথা ছিল এই সাজিদ। সম্প্রতি তার মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের দাবি, ৩৩ বছরের সাজিদ আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। সে জামাতে মুজাহিদিন-এর সক্রিয় সদস্য। এ দেশে সীমান্ত লাগোয়া সব ক’টি জঙ্গি ঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখাই ছিল তার কাজ। কয়েক দিন আগেই পলাতকদের হদিস পেতে পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের জন্য দশ লক্ষ টাকা করে, তিন জনের জন্য পাঁচ লক্ষ করে ও বাকি চার জনের জন্য তিন লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে তদন্তকারী সংস্থা। সাজিদ ধরা পড়লেও এখনও বাকি ১১ জন এখনও ফেরার।

এর আগে এনআইএ জানিয়েছিল, আইইডি (ইম্প্রোভাইসড্ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) পাচারে অভিযুক্ত সাজিদ মুর্শিদাবাদের লালগোলায় সীমান্ত ঘেঁষা মকিমনগরের মাদ্রাসায় ডেরা গেড়েছিল। সেখান থেকে কী ভাবে কলকাতার কাছাকাছি চলে এল সে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন কমিশনারেটের আধিকারিকরা।

Advertisement

খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে যে বাংলাদেশের জঙ্গি-যোগ রয়েছে, তা গোয়েন্দাদের কাছে আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গত ২ অক্টোবরের ওই বিস্ফোরণে নিহত শাকিলের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, সে আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই সময়েই গোয়েন্দারা জানিয়ে দেন, এই ঘটনায় ১২ জনকে খোঁজা হচ্ছে। যাদের চার জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বিস্ফোরণের পর তারা বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছে বলেও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তার পরে ওই ঘটনার তদন্তে বাংলাদেশ যাওয়া সিদ্ধান্ত নেয় এনআইএ। আগামী ৯ অথবা ১০ তারিখে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ যাওয়ার আগেই বর্ধমান মডিউলের মূল চক্রীকে কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ।

এখনও যারা অধরা

নাম

পুরস্কার মূল্য

নাসিরুল্লা

১০ লক্ষ টাকা

ইউসুফ

১০ লক্ষ টাকা

কওসর

১০ লক্ষ টাকা

তালহা

১০ লক্ষ টাকা

হাবিবুর রহমান শেখ

৫ লক্ষ টাকা

আমজাদ

৫ লক্ষ টাকা

শাহনুর আলম

৫ লক্ষ টাকা

বুরহান

৩ লক্ষ টাকা

রেজাউল করিম

৩ লক্ষ টাকা

আবুল কালাম

৩ লক্ষ টাকা

জহিরুল শেখ

৩ লক্ষ টাকা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন