আলুর বন্ডে বিনিয়োগ করিয়ে আমানতকারীদের কোটি কোটি টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় পুলিশ তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। ছ’মাস পলাতক থাকার পরে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন অর্থলগ্নি সংস্থা ‘সুমঙ্গল’-য়ের কর্ণধার সুব্রত অধিকারী।
মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের একটি অতিথিশালা থেকে ৩ জুলাই রাতে কলকাতা পুলিশের ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ (সিট) তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণার একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে ‘সিট’। সোমবার ধৃতকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ সুব্রতকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
‘সিট’ জানিয়েছে, ২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে ওই অর্থলগ্নি সংস্থা খবরের কাগজ ও বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের সংস্থার মাধ্যমে আলুর বন্ড কিনলে আমানতকারীদের ২০-১০০ শতাংশ লাভ হবে। সিট-এর দাবি, বাজার থেকে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা তুলেছিল ওই সংস্থা। সুমঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে সারদা-র আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পরে আমানতকারীরা সুমঙ্গল সংস্থার বিভিন্ন কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চান। তাঁদের টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করে ওই সংস্থা। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েক হাজার আমানতকারীকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এখনও ফেরত দেয়নি ওই অর্থলগ্নি সংস্থাটি।