কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। ছবি: সজল চট্টপাধ্যায়
অভাবের সংসারে আয়ের পথ দেখিয়েছিল অর্থলগ্নি সংস্থা। দু’বেলা খাবারের পাশাপাশি কোনও রকমে বোনের বিয়েটাও দিয়েছিলেন নৈহাটির ২ নম্বর বিজয়নগরের বাসিন্দা রকি দেবনাথ।
স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে না দেখতেই পায়ের তলার মাটিটা এ ভাবে সরে যাবে, তা ভাবতে পারেননি রামেল গ্রুপের এজেন্ট রকি। বুধবার সকালে শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাওনাদার আর আমানতকারীদের চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি, এমনটাই অনুমান পুলিশ ও পরিবারের লোকেদের।
রকির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে রামেল গ্রুপে হাজার কয়েক টাকা লগ্নি করেন তিনি। তার পর নিজেই এজেন্ট হয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। মাস দেড়েক আগে এক বোনের বিয়ে দিয়েছেন। চাপা স্বভাবের এই যুবককে দেখে অবশ্য মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পরিবারের কেউ কোনও অস্বাভাবিকত্ব পাননি।