চরানোর ফাঁকে কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল ছাগলটি। তাকে উদ্ধার করতে বিকেলের দিকে কুঁয়োয় নেমেছিলেন শ্যামল কোলে। কিন্তু সেখান থেকে আর উঠতে পারেননি বছর তিরিশের এই যুবক। হাওড়ার সাঁকরাইলের সাঁকোতলার কাছে সেই কুয়ো থেকে সোমবার রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন বিকেলে এলাকায় ছাগল চরাতে বেরিয়ছিলেন শ্যামল। আচমকাই স্থানীয় এক পাতকুঁয়োয় পা পিছলে পড়ে যায় একটি ছাগল। উপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও ছাগলটিকে তুলতে পারেননি তিনি। অবশেষে, নিজেই নেমে পড়েন কুঁয়োর ভিতর। সহজে নামতে পারলেও ওঠার কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষে কুঁয়োর ভেতর থেকে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান কুঁয়োপাড়ে। তাঁরাও কোনও ভাবে শ্যামলকে তুলতে না পেরে খবর দেন সাঁকরাইল থানায়। পুলিশ এসেও এক প্রস্থ চেষ্টা করে। বিফল হয়ে তারা খবর দেয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। একটি উলুবেড়িয়া এবং অন্য দু’টি ইঞ্জিন আনা হয় হাওড়া থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ এবং দমকলের যৌথ চেষ্টা সত্ত্বেও শ্যামলকে তোলা সম্ভব হয়নি। এর পরে রাতের দিকে খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ অক্সিজেন মাস্ক পরে কুঁয়োয় নামেন বাহিনীর সদস্যেরা। তাঁরাই উদ্ধার করেন শ্যামলের দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য শ্যমলের দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।