জাপানি সাংবাদিক গোতোকে হত্যা করল আইএস জঙ্গিরা

জাপানের আর এক পণবন্দি সাংবাদিক কেনেজি গোতোকে হত্যা করল ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা। ওই সাংবাদিককে হত্যার ভিডিও রবিবার ইন্টারনেটে প্রকাশ করে জঙ্গিরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জাপানে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই আর এক জাপানি পণবন্দি হারুনা উকাওয়াকেও হত্যা করেছিল আইএস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:৩৮
Share:

গোতোকে হত্যার আগের মুহূর্ত। ছবি: রয়টার্স।

জাপানের আর এক পণবন্দি সাংবাদিক কেনেজি গোতোকে হত্যা করল ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা। ওই সাংবাদিককে হত্যার ভিডিও রবিবার ইন্টারনেটে প্রকাশ করে জঙ্গিরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জাপানে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই আর এক জাপানি পণবন্দি হারুনা উকাওয়াকেও হত্যা করেছিল আইএস। গোতোর হত্যা প্রসঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানান, এই সাংবাদিকের হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সঙ্গে এক যোগে কাজ করবে জাপান। তিনি আরও জানান, যে দেশগুলি আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তাদের দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

৪৭ বছর বয়সী গোতো পেশায় সাংবাদিক। তিনি মূলত যুদ্ধের খবর করতেন। উকাওয়ার উদ্ধারে গত বছর অক্টোবরে তিনি সিরিয়া গিয়েছিলেন। আইএস-এর হাতে বন্দি হন তিনিও।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন
গোতোর মা। ছবি: এএফপি।

Advertisement

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে। সেই সময়েই পণবন্দি দুই জাপানি সাংবাদিকের কথা প্রকাশ্য আনে আইএস। ওই দু’জনের মুক্তির জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে জঙ্গিরা। এর পরে জর্ডনের সাহায্যে আইএস-এর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে জাপান সরকার। এর মধ্যেই উকাওয়াকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাঁর হত্যার পরও অন্য পণবন্দির মুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যায় জাপান। ঠিক হয় জর্ডনে বন্দি মহিলা জঙ্গি শিজাদা আল-রিসাওই-এর মুক্তির বিনিময়ে গোতোকে ছেড়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জর্ডন বায়ুসেনার লেফ্টেন্যান্ট কাসাসবেহর মুক্তির দাবি তোলে সে দেশের সরকার। ফলে এই নিয়ে তীব্র জটিলতা তৈরি হয়।

শনিবার আইএস জানিয়েছিল দুই পণবন্দির সময় ফুরিয়ে আসছে। রবিবার সকালেই গোতের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে তারা। তবে কাসাসবেহ-এর অবস্থা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি জর্ডন প্রশাসন সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement