নয়াদিল্লিতে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীর এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দু’টি রাজ্যেই পাঁচ দফায় নির্বাচন হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ২৫ নভেম্বর। শেষ দফার নির্বাচন হবে ২০ ডিসেম্বর। দিল্লির তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে ২৫ নভেম্বর। ২৩ ডিসেম্বর গণনার কাজ হবে।
এই দু’টি রাজ্যেই আঞ্চলিক দলের সঙ্গে শাসন ক্ষমতা ভাগ করে নিয়েছিল কংগ্রেস। জম্মু-কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে সমঝোতা হয়েছিল তাদের। যদিও এর মধ্যেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। নির্বাচনে তারা আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনে পরাজয়ের পরে এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের ফলাফলের উপরে অনেকেই তাকিয়ে আছেন। এই দুই রাজ্যে ভাল ফল হলে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস সামান্য হলেও তার হারানো জমি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু হেরে গেলে কংগ্রেস মাত্র ন’টি রাজ্যে ক্ষমতায় টিঁকে থাকবে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আরও আঙুল উঠতে শুরু করবে। এই দুই রাজ্যের ফলের দিকে তাকিয়ে আছে বিজেপি-ও। এই নির্বাচনে সাফল্য মোদীর হাত আরও শক্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জম্মু-কাশ্মীরে মোট ৮৭টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে। এর মধ্যে সাতটি আসন তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১০,০১৫টি। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বরাবরের মতো এ বারও নির্বাচন বয়কটের ডাক দেবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সীমান্তে পাক সেনার ক্রমাগত গোলাবর্ষণে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ফলে সামনের বিধানসভা ভোটে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা আরও আটোসাঁটো করার দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন।
নির্বাচন বয়কট করতে পারে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরাও। সে ক্ষেত্রে মাওবাদীদের সামলানোর কথাও নির্বাচন কমিশনকে মাথায় রাখতে হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে ৮১টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ন’টি আসন তফসিলি জাতি এবং ২৮টি তফসিলি উপজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এই রাজ্যের মোট ২৪,৬৪৮টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।
দিল্লির ক্ষেত্রে তুঘলকাবাদ, কৃষ্ণনগর এবং মেহরুলি— এই তিন কেন্দ্রে আগামী ২৫ নভেম্বর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এর মধ্যে দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর অথবা সুপ্রিম কোর্ট বিধানসভা ভেঙে দিলে এই রাজ্যে নির্বাচনের দিন পরিবর্তিত হবে। জম্মু-কাশ্মীর এবং ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে নিরাপত্তার যথাযথ বন্দোবস্ত করা হবে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত আশ্বাস দিয়েছেন।