দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে নাবালিকা এক ছাত্রী। জোর করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে করানো হয় তার গর্ভপাত। অথচ অমানবিক এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। উল্টে, সালিশি সভা বসিয়ে ছাত্রীর পরিবার এবং অভিযুক্তের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ডেঙ্গুয়াঝার এলাকার গোমস্তাপাড়ায়। অভিযোগ, গোমস্তাপাড়ার সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য ফ্রান্সিস বরা অভিযুক্ত যুবককে ওই নাবালিকা ছাত্রীর নামে আড়াই বিঘা জমি কিনে দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রীর বাবা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। তখন বিষয়টি জানার পর তাঁদেরকে থানায় যেতে বলেছিলাম।’’
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্তোষ রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার মহিলা সেলের আইসি কে এল শেরপা জানান, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সালিশি সভার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সন্তোষ এলাকারই বাসিন্দা। নাবালিকার মা চা শ্রমিকের কাজ করেন। কাজে বেরনোর পর রোজ সন্তোষ নাবালিকার বাড়িতে আসত। সপ্তাহ খানেক আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই চিকিত্সকেরা নাবালিকা ওই ছাত্রীর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা জানান।
সূত্রের খবর, এর পরই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশি সভা বসে। সেখানেই অভিযুক্ত সন্তোষকে নাবালিকার নামে জমি কিনে দেওয়ার শর্ত রাখা হয়। সন্তোষ তাতে রাজি না হওয়াতে থানায় অভিযোগ করা হয়।