গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তা। সোমবার আলিপুরদুয়ারে ছবি তুলেছেন নারায়ণ দে।
জলপাইগুড়ি জেলায় ঝড়ের দাপটে মারা গেল ১ ছাত্র। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বানারহাট, কালচিনি, কুমারগ্রাম, ধূপগুড়ি ও কাঁঠালগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বজ্র-বিদ্যুত্-সহ শিলাবৃষ্টি হয়। সরকারি সূত্রের খবর, গাছ উপড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভাণ্ডার, আমগুড়ি ও সাপটিবাড়ি এলাকায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি টাকারও বেশি। ঝড়ের ফলে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওযায় বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুত্হীন হয়ে পড়ে। পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ভেঙে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার টিনের বাড়ি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও করা হয়নি। এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
একই চিত্র দেখা গেছে ধূপগুড়ির বীরপাড়ায়। কেবলমাত্র এখানেই ৮ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চা বাগান। ঝড়ে বাড়ি ভেঙে মারা যায় ১ ছাত্র। আলিপুরদুয়ারের ৬টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। এলাকায় বহু ক্ষণ ধরে বিদ্যুত্ ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকে।